জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে মাহমুদ রাকিবের নতুন বই ‘ইকোস অব রেড জুলাই’

২০২৪ সালে ছাত্র জনতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ফ‍্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে তরুণ সাংবাদিক মাহমুদ রাকিবের লেখা ‘ইকোস অব রেড জুলাই, দ‍্য ২০২৪ আপরাইজিং ইন বাংলাদেশ’ নামে ইতিহাস ভিত্তিক বই বের হয়েছে। বইটিতে মূলত, কোন প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে লাখো কোটি ছাত্র জনতা স্বৈরাচার ও গণহত‍্যকারীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিলো এবং এরপর ধাপে ধাপে কিভাবে রক্তাক্ত জুলাই চুড়ান্ত আন্দোলনের গতিপথের দিকে এগিয়ে গেলো এবং সর্বশেষ স্বৈরাচার সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো তা তুলে ধরা হয়েছে।

বইটি বের হয়েছে জনপ্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস থেকে। বইমেলায় প্রতিষ্ঠানটির স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইটি নিয়ে তরুণ সাংবাদিক মাহমুদ রাকিব বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকার পরিবর্তন হয়েছে এবং তারা তাদের মতো করে একাত্তরের ইতিহাস কাটছাঁট করেছে। বিশেষ করে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ইচ্ছা মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে দেশের মধ‍্যে বিভেদ তৈরি করেছে।

তাই এই বইটি যাতে আন্তর্জাতিকভাবে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের দলিল হয়ে থাকে, সেই উদ্দেশ‍্যে বইটি লেখা হয়েছে বলে জানান একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করা মাহমুদ রাকিব। বইটি শিগগিরই দেশি বিদেশি অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্ম পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব‍্যক্ত করেন তিনি। মাহমুদ রাকিব আরো জানান, জুলাই আন্দোলনে কার অবদান কত কম বেশি ছিলো, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। বইটি পড়লে মূল আন্দোলনে কারা সম্মুখ সারিতে ছিলো, কারা জীবন দিলো, সেসব সঠিক তথ‍্যও পাওয়া যাবে বলে জানান তরুণ লেখক মাহমুদ রাকিব। সময় স্বল্পতার কারণে বইটি অমর একুশে বইমেলায় আসতে দেরি হওয়ার জন‍্য দুঃখ প্রকাশ করেন লেখক।

বইটি ইংরেজি ভাষায় কেন লেখা হয়েছে? মাহমুদ রাকিবের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত জুলাই বিপ্লব নিয়ে বাংলা ভাষায় অনেক বই বের হয়েছে এবং হবে। তুলনামূলকভাবে ইংরেজিতে কম বের হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস জানতে চায়। গুলির সামনে কেন আবু সাঈদ, মুগ্ধরা জীবন বিনিয়ে দিলো তা জানতে চায়। মূলত তাদের জন‍্য এবং অন‍্যান‍্য দেশে জুলাই বিপ্লবের ইতিহাসের স্বীকৃতির জন‍্যই ইংরেজিতে লেখা হয়েছে বলে জানান মাহমুদ রাকিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *