সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে ছাত্রাবাসে দুই গণমাধ্যম কর্মীর ওপর হামলা, লুটপাটের ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কবি নজরুল কলেজের ছাত্রাবাসে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে দুই গনমাধ্যম কর্মীর  উপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় “দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস” ও “প্রবাস টাইমস” এর গণমাধ্যম কর্মী হামলার স্বীকার হন।

গতকাল (১৪ মার্চ) রাতে আনুমানিক ১০টার দিকে অজানা নাম্বার থেকে কল দিয়ে ছাত্রাবাসে আসতে বলা হয়,ও হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর দেখা যায়, ২০৯ নম্বর রুমের তালা ভেঙ্গে রুমের জিনিসপত্র বাহিরে ফেলে দিয়ে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর, রুমের সদস্যরা কারণ জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী রুহুল আমিনসহ কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ভুক্তভোগী “দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস” প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ খান জানান, তিনি কবি নজরুল কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র এবং “দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস” এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, “আমার রুমমেট রনি মিয়াকে অজানা নাম্বার থেকে কল দিয়ে ছাত্রাবাসে আমাদের রুমের সামনে আসতে বলা হয়। এসেই দেখি আমাদের জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি কলেজ প্রশাসনের অনুমতিক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অবস্থান করছি। আমার যদি কোনো অপরাধ থাকে তবে কলেজ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তবে যারা আমার রুমে তালা ভেঙে জিনিসপত্র বাইরে ফেলেছে এবং আমার অ্যাকশন ক্যামেরা ও রুমেটের ত্রিশ হাজার টাকা লুট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”

আরেক ভুক্তভোগী, “প্রবাস টাইমস” এর রিপোর্টার রনি মিয়া বলেন, “যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে হামলা ও লুটপাট করেছে। কিছুদিন ধরে হলের গ্রুপ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল। এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিল রুহুল আমিন, মুজাহিদ, আলভী এবং আরও কিছু ব্যক্তি। তারা আমাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেছে। যদি আমাদের কোনো ভুল থাকে, তবে সেটা কলেজ প্রশাসন দেখবে, কারণ তারা হল থেকে আমাদের বের করে দেওয়ার দায়িত্ব রাখে না। আমার রুমে প্রবেশ করে তারা আমার ত্রিশ হাজার টাকা লুট করেন ও জিনিসপত্র বাহিরে ফেলে দেন।

এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে কেউ হলের দায়িত্ব নিতে পারে না। ছাত্রাবাসে কে থাকবে, সেটা কলেজ প্রশাসন নির্ধারণ করবে। কোনো শিক্ষার্থী আরেক শিক্ষার্থীকে বের করে দিতে পারে না। অভিযোগ থাকলে তা প্রক্রিয়াগতভাবে তদন্ত হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *