বিশ্ব শ্রমিক দিবসে জনদুর্ভোগ

মোঃ নাহিদ জুবায়ের, নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ বিশ্ব শ্রমিক দিবস। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা চাকুরীজীবী ও পেশাজীবী সবাই শ্রমিক তাই সমগ্র বিশ্বের সকলের জন্য এই দিবস। এ দিবসে প্রতিপাদ্য হওয়া উচিত শ্রমিকদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে নানা করনীয় বা ভালো কাজের মাধ্যমে এটিকে সবার সমানে নিয়ে আসা।

অন্যদিকে আজ যা হচ্ছে, জন সাধারনের জন্য আগাম কোনো ঘোষনা না দিয়েই সকল শ্রমিক আজকের দিনটিকে পালন করছে ইচ্ছেমতো রেলি, সভা, সমাবেশের মাধ্যমে। আর এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক দল। যারা দলীয় ব্যানারে আজকের উৎসব পালন করছে। এদিকে সাধারন জনগন রাস্তায়, পথে গাড়ি না পেশে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। রাস্তায় স্টান্ডে তাদের যানবাহন গুলো দাড়িয়ে আছে। কিন্তু তাদের বাহন চলাচল বন্ধ। এ নিয়ে জনসাধারনের মতামত ‘তারা যেহেতু আজকের এগুলো করবে তবে রাষ্ট্রের বা প্রশাসনের কোন নির্দেশনা কেনো নেই।’ ‘অবশ্যই সরকার ও প্রশাসনের বিকল্প রাখা উচিত বা পূর্বঘোষনা দেয়া উচিত।’ ‘তাদের জন্য আজকে আমাদের দূর্ভোগ।’

আজকের এই দিবসকে কেন্দ্র করে জনদূর্ভোগের বিকল্প হিসাবে সরকার ও প্রশাসনের উল্যেখযোগ্য কোন বিধিমালা ও ঘোষনা নেই। আজকে সাময়িক এ যানবাহন চলাচল বিষয়ে প্রশাসনসাধারন জনগনের উদ্দেশ্যে কোনরূপ নির্দেশনা কেনো জারি করেনি। এটি করলে আজকে এ সময়ে অন্তত সাধারন জনগন তাদের চলাচল বন্ধ রাখতো। আজকে যা জনদূর্ভোগ হচ্ছে তাদ দায় কে নিবে? সরকার, প্রশাসন নাকি শ্রমিকরা

আজকে যা করনীয় হতে পারতো

১. সরকারি ছুটি সহ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ। এর মধ্যে তাদের রেলী ও সমাবেশের সমাপ্তি।

২. বিশেষ সার্ভিসের আওতায় আজকে সকল যানবাহনের ভাড়া ৫০% শতাংশ ছাড়ে যাতায়াত ব্যবস্থা।

৩. সাধারন শ্রমিক ও জনসাধারনের মধ্যে  সম্পর্ক বাড়াতে শ্রমিক ও সাধারনের জন্য উপহার সামগ্রী বিতরন ও খাবার আপ্যায়ন ব্যবস্থা করা।

৪. শ্রমিকদের জন্য সরকারি বেসরকারী নানা উদ্যোগে তাদের ট্রিনিং, সহায়তা প্রদান, বিভিন্ন দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের মধ্যে সহযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করা।এছাড়াও অনেক পরিকল্পনাবিদের মাধ্যমে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজকের দিনটিকে পুরো পৃথিবীতে নজিরবিহীন পরিবর্তন ও আয়োজনের স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ দেয়া যেতো। কিন্তু তার ছিটে ফোটায় আমরা পাইনি। তবে আশা করছি আপনার আমার সকলের ভালো চিন্তার মাধ্যমে একদিন এটি বাস্তবায়িত হবে।

তখন “দুনিয়ার মজলুৃম, এক হও লড়াই করো” স্লোগানের পরিবর্তে ধ্বনিত হবে  “শ্রমই শক্তি, ঐক্যেই মুক্তি – সবে মিলে গড়ি নতুন পৃথিবী।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *