দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি:
ভুল চিকিৎসা নয়, ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে শুরু হয় মনোমালিন্য । একের পর এক তাদের মধ্যে শুরু হয় দূরত্ব। শুরুতে সাদরে ডেকে আনলেও পরবর্তীতে কাল হয়ে দাঁড়ায় পল্লী পশু চিকিৎসক জুয়েল।
অনুসন্ধানে জানা যায় ,২-৪-২৫ ইং তারিখে পাথরেরচর মাস্টার পাড়া এলাকায় আঃ বারিক পিতা মৃত্যু মফিজ উদ্দিন তার গৃহপালিত একটি গবাদি পশুকে কুকুরকে কামড় দিলে পাথরেরচর বাজার থেকে Rabics VC কিনে পল্লী চিকিৎসক জুয়েলকে ডেকে নিয়ে আসেন। একই নিয়মে পরপর তিন দিন ইনজেকশন প্রদান করা হলে চতুর্থ দিনে গরুটি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে থাকে।
গরু মালিক আব্দুল বারিক অভিযোগ করে বলেন , আমরা বারবার চিকিৎসক জুয়েলকে ফোন দেই কিন্তু তিনি ফোনে কোন সাড়া দেননি। যার ফলশ্রুতিতে গরুটি মারা যায়। এর প্রেক্ষিতে গ্রাম্য ভাবে সালিশি বৈঠক হয় সেখানে জুয়েলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পল্লী চিকিৎসক টাকা দিতে গরি মসি করলে আমরা তার গাড়িটি নিজেদের হেফাজতে আটক করে রাখি।
পল্লী চিকিৎসক জুয়েলের ভাষ্য, একই গ্রামে দুটি গুরুকে ৩ সিসি করে একই ভ্যাকসিন প্রদান করা হয় , দুটি গরুর মধ্যে একটি গরুর সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং অপরটি মারা গিয়েছে। কিন্তু কেন মারা গিয়েছে সেটা আমি বলতে পারব না।
গরুর মালিকের কেনা ভ্যাকসিন ছিল, আমাকে শুধু ডেকে নিয়েছে পুশিং করে দেওয়ার জন্য। যার প্রেক্ষিতে আমি টিকা গুলো প্রদান করে দিয়েছি।
একটি গরু মারা যাওয়ার ফলে আব্দুল বারিক কর্তৃ আমার মোটরসাইকেল আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করছেন। পল্লী চিকিৎসক জুয়েল আরো জানান, গরু মালিক আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন এবং নানা ধরনের হুমকি প্রদান করছেন, আমি এর সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় নেতাকর্মী বিষয়টি মীমাংসা করে দেবে বলে দীর্ঘ ১৬ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু অদ্যবদি পর্যন্ত কোন প্রকার সমাধান দেয়নি।
গরু মালিকের কাছে তথ্য সংগ্রহের জন্য সাক্ষাৎকার চাওয়া হলে তিনি সাক্ষাৎকার দিতে নারাজ।