তিতুমীর কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য শীতের গরম কাপড় উপহার

শায়লা আক্তার মিম, তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
শীতকাল মানেই দুর্ভোগের এক নতুন অধ্যায়, বিশেষত দরিদ্র এবং শ্রমজীবী মানুষের জন্য। রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ২২ জন(দিবা ও নৈশ) নিরাপত্তা রক্ষীও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রচণ্ড ঠান্ডায় দিনের পর দিন কাজ করা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতের কাপড়ের অভাবে তারা শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক চাপের মধ্যেও দিন কাটাচ্ছেন।

২২ ডিসেম্বর সোমবার নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন করলে সেখানে তাদের বিভিন্ন সংগ্রামে চিত্র ফুটে ওঠে।

এই কঠিন পরিস্থিতি বিবেচনায় তিতুমীর কলেজ প্রশাসন মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কলেজ প্রতিপক্ষের  উদ্যোগে ২২ জন(দিবা ও নৈশ) নিরাপত্তা রক্ষীর জন্য শীতের গরম কাপড় সরবরাহ করা হয়েছে। উক্ত উদ্যোগের মাধ্যমে শীতের প্রভাব থেকে তাদের রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

নিরাপত্তা রক্ষী কল্যাণ  জানান, শীতের এই সময়টায় আমাদের কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়।  প্রতিবছর কলেজ প্রশাসন আমাদের শীতের কাপড় দিয়ে  থাকে তাদের এই  সহযোগিতায়  আমরা কৃতজ্ঞ। এই সাহায্য আমাদের কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াবে।তবে কাজ করার সময় মশার উপদ্রবের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এছাড়া ও নিরাপত্তারক্ষী শাহাবুদ্দিন বলেন, কলেজ প্রশাসন থেকে আমাদের শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাই তিনি কৃতজ্ঞ তবে তার দীর্ঘ দেড় যুগের কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন বর্তমান বাজারের ঊর্ধ্বগতিতে স্বল্প আয়ের  এই বেতনে পরিবার বর্গ নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাই বেতনটা বিবেচনার বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।

তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মন্ডল  বলেন, আমরা শুধু এই বছরই নয় প্রতি বছরই আমরা নিরাপত্তা রক্ষীদের(দিবাও নৈশ) শীতের কাপড় প্রদান করে থাকি। এইবারও তার ব্যতিক্রম নয়, ২২ জনকে আমরা শীতের কাপড় উপহার দিয়েছি এবং এমন মানবিক কাজ সব সময় অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এই উদ্যোগ সমাজে এক মানবিক বার্তা প্রদান করে যে, শ্রমজীবীদের প্রতি যত্নশীল হওয়া শুধু প্রয়োজন নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরও এমন মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত থাকবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *