গণঅভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর কে?

জাহিদুর রহমান (জাহিদ)


আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কত দিনে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। এক ঝাঁক তরুণ প্রজন্ম, যাদের চোখে মুখে ছিল জয়ের তীব্র নেশা।

আসলেন দেখলেন জয় করলেন বিষয়টি এমন নয়। বারবার চেষ্টা করার পর, পরিকল্পনা সাজানোর পর, বারবার হোঁচট খাওয়ার পর আবারও যে উঠে দাঁড়ানো যায়, তীব্র ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কোন কিছু করা যায় তার জলজ্যান্ত প্রমাণ পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করে গেলেন তারা।

এই বাংলাদেশকে আরো একবার বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো, লেখা হলো প্রেরণার গল্প। যা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। একটা পঙ্গু ভীত জাতিকে কীভাবে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনতে হয় তা তারা দেখিয়ে গেলেন। কিন্তু একটা প্রশ্ন বরাবরই থেকে যায়, এর পিছনের মাস্টারমাইন্ড কে? যাকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা তো বটেই, ইন্ডিয়ার কোন গোয়েন্দা সংস্থা খুঁজে বের করতে পারলেন না। নিউইয়র্কের হিলটন হোটেলে, “ক্লিংটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ” এর একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গোছালো এই আন্দোলনের কথা বলছিলেন ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস। কীভাবে একটি অকল্পনীয় কাজ বাস্তবে রূপ দিলেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তার বর্ণনা করছিলেন তিনি। তার মধ্যে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন কিছু পরিচিত মুখ।কথা বলার এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে সামনে এগিয়ে দিয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর মাহফুজ।”

মাহফুজ আলমদের মত মাস্টারমাইন্ড একদিনে তৈরি হয়নি, কোন কিছু না করে এমনিতেই তৈরি হয়নি। মাহফুজ আলমদের মতো ব্যক্তিত্বগুলাই আমাদের তরুণ প্রজন্মের আইডল হওয়া উচিত।

যারা স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দান করার জন্য জীবন বাজি রাখার মত দুঃসাহস দেখায়। এদেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে তরুণ প্রজন্মের শক্তি উঠে আসবে এটাই সবার স্বপ্ন। আমরাই পারবো এ দেশকে নতুন রূপে ফিরিয়ে আনতে। আমাদের দরকার পরিশ্রম করার মানসিকতা, প্রবল ইচ্ছা শক্তি, ইমাজিনেশন পাওয়ার এবং দেশপ্রেম। বিশ্বাস করি আমরা তরুণরাই পারবো এ দেশকে স্বপ্নের সমান বড় করতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *